তিন সপ্তাহ ধরে কমছে ব্যাংক খাতের লেনদেনের হার

নিজস্ব প্রতিবেদক: গেল তিন সপ্তাহ ধরে কমছে ব্যাংক খাতের লেনদেনের হার। তবে জুনে হিসাববছর শেষ হওয়ায় একাধিক খাতের লেনদেনের হার বাড়তে দেখা গেছে। ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাববছর এ মাসেই অর্থাৎ ডিসেম্বরেই শেষ হবে। আর এ সময় ব্যাংক খাতের লেনদেনের হার কমে যাওয়াকে বাজারের বিপরীতমুখী আচরণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যমতে, গেল সপ্তাহে মোট লেনদেনে ব্যাংক খাতের অংশগ্রহণ ছিল ২৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেনে এ খাতের অংশগ্রহণ ছিল ৩০ শতাংশ। তিন সপ্তাহ আগে ব্যাংক খাতের লেনদেনের হার ছিল ৩৯ শতাংশ। গেল সপ্তাহে ব্যাংক খাতের দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১৯৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, আগের সপ্তাহে এ খাতের দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৩০২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। তিন সপ্তাহ আগে ব্যাংক খাতের দৈনিক লেনদেন হয়েছিল ৩৪৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ তিন সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেনের হার কমেছে ১৩ শতাংশ। দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ১৪৭ কোটি টাকা।

এদিকে ব্যাংক খাতের লেনদেনের হার পিছিয়ে গেলেও এগিয়ে যাচ্ছে জুন ক্লোজিং একাধিক খাতের প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে প্রকৌশল খাতের লেনদেন হার বাড়ছে। গেল সপ্তাহে মোট লেনদেনের মধ্যে খাতটির অংশগ্রহণ ছিল ১৪ শতাংশ। আলোচিত সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৮৭ কোটি টাকা। তিন সপ্তাহ আগে এ খাতের অংশগ্রহণ ছিল ১৩ শতাংশ। ওই সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৪০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, সাধারণত কোনো কোম্পানির ক্লোজিংয়ের আগে শেয়ারদর বাড়ে। তবে এবার ব্যাংক খাতের ক্লোজিং পরে দর বেশ বেড়েছে। ফের ডিসেম্বরের ব্যাংক খাতের ক্লোজিং হলেও এর আগেই লেনদেনে হার কমছে।

এবারই ব্যাংক খাতের শেয়ারে উল্টো চিত্র দেখা গেছে। বাজারের এমন আচরণ অতীতে দেখা যায়নি। এটা বাজারের বিপরীতমুখী আচরণ বলে মনে করছেন তারা।

এ সম্পর্কে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ শেয়ার বিজকে বলেন, দীর্ঘদিন ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে। কিন্তু জুন ক্লোজিংয়ের ডিক্লারেশন শুরু হওয়ার পর এ খাতের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়তে দেখা গেছে। এতে ব্যাংকের লেনদেনের গতি কিছুটা কমে যায়। তবে ডিসেম্বরে ব্যাংকের ক্লোজিং, কিন্তু তার আগে খাতটির লেনদেনের হার কী কারণে কমছে, তা বলা যাচ্ছে না।

এদিকে পিই রেশিও অনুযায়ী ব্যাংক খাতের পিই রেশিও ১০ দশমিক পাঁচ শতাংশ। এরপরে বিমা খাতের পিই রেশিও’র অবস্থান। খাতটির পিই রেশিও ১২ দশমিক ৯ পয়েন্টে। এরপরেই জুন ক্লোজিং খাতের জ্বালানি খাতের পিই রেশিও। জ্বালানি খাতের পিই রেশিও ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। প্রকৌশল খাতের পিই রেশিও ২৬ দশমিক এক শতাংশ। আগের সপ্তাহে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও’র একই চিত্র লক্ষ করা গেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, যত দিন কোনো কোম্পানির পিই রেশিও ১৫-এর ঘরে অবস্থান করে তত দিন ওই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করে।

উল্লেখ্য, ব্যাংক খাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠান এবং প্রকৌশল খাতের ৩৫টি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত আছে। ব্যাংক, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা খাতের হিসাববছর শেষ হবে ডিসেম্বরে। এছাড়া অন্যান্য কোম্পানির হিসাববছর শেষ হয়েছে জুনে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০