শেয়ার বিজ ডেস্ক: আগামী অর্থবছরে জাতিসংঘের তহবিলে ২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি সোমবার এ ঘোষণা দেন। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস হওয়ার পরই বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা এলো। খবর বিবিসি।
এক বিবৃতিতে নিকি হ্যালি বলেন, জাতিসংঘের অদক্ষতা ও অতিরিক্ত ব্যয়ের কথা সবাই জানে। আমেরিকার জনগণের অর্থ কোনো জবাবদিহি ছাড়া ব্যয়ের কোনো সুবিধা আর আমরা রাখতে চাই না।
মার্কিন দূত বলেন, এ ঐতিহাসিক বরাদ্দ ব্যয় কমানো জাতিসংঘকে আরও কার্যকর ও জবাবদিহির মধ্যে নিয়ে আসার জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপের একটি। সঠিক পথে এটি বড় পদক্ষেপ।
জাতিসংঘের মোট ব্যয়ের ২২ শতাংশ বা প্রায় ৩৩০ কোটি ডলার প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র।
জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি ও মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণায় সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোট হলে মার্কিন স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যানের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১২৮টি দেশ। বিপরীতে ট্রাম্পের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় মাত্র ৯টি দেশ। ভোটদান থকে বিরত ছিল ৩৫ দেশ।
প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় ট্রাম্প বিভিন্ন দেশকে সহযোগিতা বন্ধের হুমকি দেন। একদিন পর জাতিসংঘে হুমকি দেন দেশটির দূত নিকি হ্যালি। তিনি হুমকি দেন, জাতিসংঘে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল বন্ধ করে তা অন্য লাভজনক খাতে বিনিয়োগের অধিকার রয়েছে তাদের। জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন সংস্থায় সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ফলে এ সংস্থায় তাদের চাহিদা বা প্রত্যাশাও বেশি থাকবে। অথচ তার বদলে এখানে যুক্তরাষ্ট্রকে অপমানজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।
নিকি হ্যালি বলেন, ‘আমাদের বিনিয়োগের জন্য আরও বেশি চাওয়ার অধিকার রয়েছে। যদি আমাদের বিনিয়োগ ব্যর্থ হয়, তাহলে আরও লাভজনক খাতে আমাদের বিনিয়োগ কাজে লাগানোর বাধ্যবাধকতা আছে। এ প্রস্তাবের পক্ষে যারা ভোট দেবে, তাদের বিষয়টি মনে রাখা উচিত।’
