শেয়ার বিজ ডেস্ক : গত বছরের নভেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মালয়েশিয়ার রফতানি বেড়েছে ১৪ দশমিক চার শতাংশ। দেশটির ম্যানুফ্যাকচারিং পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। খবর সিনহুয়া।
মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, নভেম্বরে মালয়েশিয়া থেকে ৮৩ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন রিংগিত বা ২০ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। দেশটির মোট রফতানি পণ্যের ৮২ দশমিক ছয় শতাংশই ম্যানুফ্যাকচারিং পণ্য। নভেম্বরে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক দুই শতাংশ। ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক পণ্য, কেমিক্যাল ও কেমিক্যাল পণ্য রফতানি চাহিদা ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। গত বছরের অক্টোবরে মালয়েশিয়ার রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ, অর্থাৎ আগের মাসের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে।
রফতানি বাড়লেও খনি ও কৃষিপণ্য রফতানি নভেম্বরে কমেছে যথাক্রমে দশমিক ৯ শতাংশ ও দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ।
অ্যাসোয়িয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), চীন, সাউথ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র দেশটির অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার। এর মধ্যে আসিয়ানে নভেম্বরে মালয়েশিয়ার রফতানি বেড়েছে ১৮ দশমিক তিন শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে ১২ দশমিক দুই শতাংশ ও ১৩ দশমিক চার শতাংশ। এছাড়া চীনের সঙ্গে রফতানি বেড়েছে তিন দশমিক তিন শতাংশ।
গত বছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বরে মালয়েশিয়ার বাণিজ্য হয়েছে এক দশমিক ৬২২ ট্রিলিয়ন রিংগিতের। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি ২০ দশমিক আট শতাংশ বেশি। এ সময়ে দেশটির রফতানি ও আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ দশমিক চার শতাংশ ও ২১ দশমিক দুই শতাংশ।
মালয়েশিয়ায় তৈরি বস্ত্র ও পোশাকের গুণগত মান ভালো হওয়ায় বিশ্ববজারে রফতানি চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে মালয়েশিয়া থেকে এসব পণ্য ক্রয়ের চাহিদা বেড়ে গেছে।
২০১৮ সালে এ খাতে রফতানি বেড়ে ৬৩৮ দশমিক তিন বিলিয়ন রিংগিত হবে বলে প্রতাশা করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে দেশটিতে ৯৭০টি গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল কারখানা নথিভুক্ত আছে, যার মধ্যে ৪০০ কারখানা রেডিমেট গার্মেন্ট, ৮০টি সুতা ও বাকিগুলো বস্ত্র নির্মাণ কারখানা।
এদিকে সম্প্রতি মালয়েশিয়ার আনারস রফতানি রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ২০১৫ সালে দেশটি ১৬১ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিংগিত বা প্রায় ৩১৪ কোটি টাকার আনারস রফতানি করেছে। ২০২০ সাল নাগাদ রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ২৫৪ মিলিয়ন রিংগিত করা হয়েছে।
