দুই অপরাজিতার কথা

নারীকে ‘অপরাজিতা’ বলায় রয়েছে নানা কারণ। নারীদের জয়যাত্রা এগিয়ে চলেছে আলোর পথে, নতুনকে জয় করার প্রত্যয়ে। এমনই দুই অপরাজিতা নাসরিন সুলতানা ও নাজমুন নাজ। নিজের অর্থে স্বাবলম্বী হওয়ার অদম্য ইচ্ছা থেকেই অনলাইনে পণ্য বিক্রির সফল উদ্যোক্তা তারা। তাদের গল্প শোনাচ্ছেন বেনজির আবরার

নাসরিন সুলতানা

লা এলিগেন্ট

ছোটবেলা থেকেই মা হাতে করা ডিজাইন দিয়ে আমাদের জামা বানাতেন। তাই বলতে গেলে ডিজাইনের হাতেখড়ি মায়ের কাছ থেকেই পাওয়া। ফ্যাশনসচেতন মায়ের মেয়ে বলে কথা!

ফ্যাশন ডিজাইনের ওপরই স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ফেসবুকে ‘লা এলিগেন্ট’ নামে একটি পেজ খুলে ব্রাইডাল গাউন, পার্টি গাউন নিয়ে কাজ শুরু করেন নাসরিন। কয়েক মাসের মধ্যে ক্রেতাদের ভালো সাড়া পান। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের ব্রাইডাল ও পার্টিড্রেস প্যাটার্ন কাটিং করে তৈরি করেন। দিনে পঞ্চাশের বেশি ড্রেসের অর্ডার পান তিনি।

নাসরিন জানান, ২০১৬ সালের শুরু থেকে গ্রাহকের আস্থা ও ভালোবাসায় অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে ‘লা এলিগেন্ট’ নামে একটি ডিজাইন স্টুডিও করার ইচ্ছে আছে, যেখানে কাস্টমাররা তাদের পছন্দমত কাপড় নিয়ে ডিজাইনারদের সঙ্গে পরামর্শ করে পছন্দমত ব্রাইডাল ও পার্টি ড্রেস বানাতে পারবেন।

নাসরিন সুলতানার পণ্যের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/laelegant.bd/

 

নাজমুন নাজ নাজ

পরিসংখ্যান নিয়ে পড়ালেখা করেছেন নাজমুন নাজ। তার জীবনের শুরুটা একটু কঠিনই ছিল। তবে সে বিষয়ে তেমন কিছু জানাতে আগ্রহী নন তিনি।

গয়নার প্রতি তার ভালো লাগা ছিল সব সময়। ডিজাইন মোটামুটি ভালোই বুঝতেন।

নাজমুন জানান, সময়টা ২০১১ সাল। ৫০০ টাকায় কেনা কানের দুল ৭০০ টাকায় বিক্রি করি। লাভের ২০০ টাকা, আত্মবিশ্বাস, দৃঢ় মনোবল ও কঠিন পরিশ্রমের ফসল আজকের আমি। এ সবকিছুই আজকের এ পথে এগিয়ে চলতে সাহায্য করছে। এখন অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছি।

শুরুতে পরিবারের খুব একটা সমর্থন পাননি। সে অবস্থা পাল্টে গেছে। এখন পারিবারিকভাবেও সবার সহায়তা পাচ্ছেন।

স্বপ্ন দেখি দেশ ও দেশের বাইরে আমার পণ্য

দিয়ে একটা ব্র্যান্ড তৈরি করা, জানালেন আত্মবিশ্বাসী নাজমুন নাজ।

তার পণ্যের ফেসবুক পেজের নাম

https://www.facebook.com/NAAZBrand/

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০