শেয়ার বিজ : গাজীপুরে মালিককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের মামলায় চারজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল হক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কালিয়াকুড়ি গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম গাজীপুরের কাপাসিয়ার ঘাগুটিয়া চালার বাজারের গনি ওরফে সুরুজ মিয়ার ছেলে শওকত, শ্রীপুর উপজেলার মাস্টারবাড়ি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মিজান ও নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার বাঘবেড় গ্রামের শাহজাহানের ছেলে শাহীন মিয়া।
ফাঁসির দণ্ড ছাড়াও অন্য একটি ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে আদালত পুলিশের পরিদর্শক রবিউল ইসলাম জানান।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় শিশির সংমা ও খোরশেদ আলমকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারের দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল জানান, ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি বোনের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে নরসিংদীর মনোহরদীর দক্ষিণ বারদিয়া গ্রামের খোকা মিয়ার অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার মাধোখোলা খাসপাড়া এলাকায় আসেন কামরুল ইসলাম। দূরের রাস্তা হওয়ায় চালক জসিম অটোরিকশা মালিক খোকাও সঙ্গে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, তারা মাধোখোলা এলাকার জঙ্গলে পৌঁছলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা কামরুলের সহযোগীরা অটোরিকশা থামিয়ে খোকা মিয়াকে গলা কেটে হত্যা করে। চালক জসিমকেও গলা কেটে হত্যার সময় আহত অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে তারা অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে খোকা মিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার এসআই আবদুস সালাম বাদী হয়ে ওই দিন রাতে একটি মামলা করেন। মামলায় কামরুল ইসলাম ও অজ্ঞাত আরও দুইজনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৫ মে ছয়জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি হারিছ উদ্দিন আহমেদ এবং আসামি পক্ষে ছিলেন মুবিন খান ও নাসরিন আক্তার মায়া মামলা পরিচালনা করেন। বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর