বেড়েছে চিকন চালের দাম, সবজির বাজার স্থিতিশীল  

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোটা চালের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও মিনিকেট চালের দাম গত এক সপ্তাহে কেজিতে দুই টাকা করে বেড়েছে। তাছাড়া পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা কিছুটা কমেছে বলে বাজারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এদিকে সবজির বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি গেল সপ্তাহে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। কারওয়ান বাজারে চালের খুচরা বিক্রেতা বাচ্চু মিয়া শুক্রবার জানান, বিভিন্ন মিলের মিনিকেট চালের বস্তায় (৫০ কেজি) ১০০ টাকা করে দাম বেড়েছে। ফলে চালের দাম কেজিতে দুই টাকা করে বাড়াতে হচ্ছে।

তবে মিনিকেটের দাম বাড়লেও আরেক সরু চাল নাজিরশাইলের দাম কমার কথা জানিয়েছেন মিরপুর-১ নম্বর বাজারের জননী রাইস এজেন্সির ব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিন হারুন। তিনি বলেন, সম্প্রতি মিনিকেটের দাম বাড়তে থাকলেও গত এক মাস ধরে নাজিরশাইলের দাম কমছে। প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে এ চালের দাম।

সূত্রমতে, বাজারে তিন হাজার টাকা থেকে তিন হাজার ১০০ টাকায় বিভিন্ন মানের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানি করা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি বস্তা দুই হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার ৭০০ টাকায়। অন্যদিকে শেরপুরের নাজিরশাইলের ৫০ কেজির বস্তা তিন হাজার ১৫০ টাকা থেকে কমে তিন হাজার ৫০ টাকা হয়েছে। আর  উৎসব কোম্পানির নাজির তিন হাজার ৩০০ টাকা থেকে কমে তিন হাজার ২০০ টাকা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ শাকসবজির দাম স্থিতিশীল। নতুন করে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকার মতো কমেছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমেছে অতি সামান্য। ভারতীয় পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানিমূল্য নিয়ে শর্ত তুলে নেওয়ার এক সপ্তাহ পরেও দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়েনি বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানিমূল্যের সীমা প্রতি টন ৭০০ ডলারের শর্ত বাতিল করে গত শুক্রবার প্রজ্ঞাপন জারি করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ফলে সে দেশের স্থানীয় বাজারের দামেই পেঁয়াজ আমদানির পান বাংলাদেশি আমদানিকারকরা। কিন্তু ওই সুযোগের সুফল এখনও পাচ্ছেন না খুচরা বাজারের ক্রেতারা।

ভারতে এখন ২৫ রুপি থেকে ৩৫ রুপির মধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে আশা করছিলেন সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে পেঁয়াজ বিক্রেতা মোশাররফ হোসেন বলেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় দামও কমেছে কেজিতে পাঁচ টাকা করে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমবে বলে শোনা গেলেও তেমনটি কমেনি।

অপর বিক্রেতা সুমন বলেন, কারওয়ান বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৪ টাকা থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে পাঁচ টাকা। আমদানি পেঁয়াজের দামও কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

তবে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি বলছে, গত এক সপ্তাহে আমদানি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। আগে ৫৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে শুক্রবারই রাজধানীর মিরপুরের বড়বাগে একটি মুদি দোকানে প্রতি কেজি ৫৫ টাকাতেই আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে শাকসবজি ও অন্যান্য তরকারির দাম গত সপ্তাহের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। শিম ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি প্রতিটি ২০ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০