শেয়ার বিজ ডেস্ক : ভারতীয় ই-কমার্স ফ্লিপকার্টের ৪০ শতাংশেরও বেশি শেয়ার কিনতে চলেছে মার্কিন রিটেইলার ওয়ালমার্ট ইনকরপোরেশন। এতে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম বাজারে চাপে পড়তে পারে অ্যামাজন। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদন মতে, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই সম্পাদিত হতে চলেছে শেয়ার হস্তান্তর চুক্তি। এই চুক্তির শর্তাবলির বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, ফ্লিপকার্টের দাম এক হাজার ২০০ কোটি ডলারকে ছাপিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ফ্লিপকার্টের এক পঞ্চমাংশ শেয়ার কিনেছিল জাপানের সফটব্যাংক গ্রুপ কর্পস ভিশন ফান্ড। তখন এর দাম উঠেছিল দুই হাজার ৫০০ কোটি ডলার।
ফ্লিপকার্টের এখনকার বিনিয়োগকারীরা হলেন, যুক্তরাষ্ট্রের টাইগার গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট, চীনের টেনসেন্ট হোল্ডিংস সিমিটেড, অনলাইন বিপণন প্ল্যাটফর্ম ই বে ইনকরপোরেটিভ এবং মাইক্রোসফ্ট জগতের মহাতারকা মাইক্রোসফ্ট কর্প।
তবে শেয়ার বিক্রি সম্পর্কে ফ্লিপকার্ট বা ওয়ালমার্টের তরফে কোনো জবাব মেলেনি।
ফ্লিপকার্ট ভারতের ই-কমার্স বাজারে এক নম্বর হলেও তাদের ঘাড়ের কাছেই নিঃশ্বাস ফেলছে আমাজন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ভারতে শিগগিরই আরও বিনিয়োগ করতে চলেছে। বিনিয়োগ প্রয়োজন ফ্লিপকার্টেরও। কিন্তু দেশের মধ্যে থেকে অর্থ জোগাড় প্রায় অসম্ভব হয়ে যাওয়াতেই ওয়ালমার্টের সঙ্গে এই চুক্তি হতে চলেছে। অন্যদিকে এই চুক্তি হলে, ওয়ালমার্ট যেমন ভারতের বাড়তে থাকা ই-কমার্স বাজারের লাভা ঘরে তুলতে পারবে তেমনি আমাজনের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য পায়ের তলায় মাটি শক্ত করতে সক্ষম হবে। যেটা তারা যুক্তরাষ্ট্রে পেরে উঠছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স বাজার ভারত। আরকানসাসের সংস্থা ওয়ালমার্ট-এর আগে ফ্লিপকার্টের সঙ্গে যৌথভাবে ভারতের খুচরো বাজারে ঢোকার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি।
ভারতের গতানুগতিক খুচরো বাজারের বৃদ্ধি তেমন একটা হচ্ছে না। কিন্তু ই-কমার্স বাজারের বার্ষিক বৃদ্ধি ৪৫ শতাংশ। কোটাক ইনস্টিটিউশনাল ইকুইটিজের হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালে ভারতের ই-কমার্স বাজারের আয়তন হবে দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
