নিজস্ব প্রতিবেদক: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণ-প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিগুলোর কাট অব প্রাইস নির্ধারণে অংশ নেওয়ার আগে প্রত্যেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীকে একটি ‘বিডিং রিকমেন্ডেশন কমিটি’ গঠন করতে হবে। এ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নিলাম করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
গতকাল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে। বিএসইসির ৬৩০তম কমিশন সভায় বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিগুলোর কাট অব প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশোধনীর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নির্দেশনানুযায়ী, এখন থেকে যেসব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নিলামে অংশ নেবে তাদের এ নিলাম করার আগে প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি বিডিং সুপারিশ কমিটি গঠন করবে। এ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নিলাম করবে প্রতিষ্ঠানটি।
নিলাম কমিটি বুক বিল্ডিংয়ে আসা কোম্পানির রেড হেয়ারিং প্রসপেক্টাস বিস্তারিত পর্যালোচনা করবে। কোম্পানির আর্থিক বিররণী, পণ্য, ব্যবসা, ম্যানেজমেন্ট এবং ভবিষ্যৎসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রস্তুত করবে। সে সুপারিশের ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটি নিলামে অংশ নেবে। কমিটির সিদ্ধান্তগুলো সংরক্ষণ করতে হবে ওই সুপারিশ কমিটির।
নিলামের অংশ নেওয়ার প্রথম দুদিনের মধ্যেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নিলাম প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এখানে যে প্রতিষ্ঠান যে দিন থেকে নিলামে অংশ নেবে; তার দুদিনের মধ্যে এই প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নিলামের প্রতিবেদন সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসির কাছে জমা দেবে। এ নিলামে দর নির্ধারণের ক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম করা হয় তবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, গত বছরের নভেম্বর মাসে বসুন্ধরা পেপার মিলসের বিডিংয়ে কাট অব প্রাইস নির্ধারণ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছিল; এরই প্রেক্ষিতে বিএসইসি বিডিং প্রক্রিয়া সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। পাশাপাশি অতিমূল্যে বিডিংয়ের কারণও জানতে চায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।
পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫ চালু হওয়ার পর পুঁজিবাজারে প্রিমিয়াম নিয়ে যেসব কোম্পানি বাজারে এসেছে; তাদের বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট অব প্রাইস নির্ধারণের মাধ্যমে আসতে হয়েছে। তবে এই কাট অব প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেওয়া হয় বসুন্ধরা পেপার মিলসের বিডিং থেকে।