নিজস্ব প্রতিবেদক: যথাযথভাবে রাজস্ব পরিশোধ না করায় সেলফোন অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটার সব ব্যাংক হিসাব জব্দের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিট (ভ্যাট, এলটিইউ)। এ বিষয়ে গতকাল সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর চিঠি দেয় এলটিইউ। চিঠিতে ১৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কোম্পানিটির সব ব্যাংক হিসাব তিন কার্যদিবস অপরিচালনযোগ্য রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এলটিইউয়ের কমিশনার মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি এলটিইউয়ের একজন অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল রবির করপোরেট অফিস পরিদর্শন করে। সে সময় ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির জায়গা ও অফিস ভাড়া, ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের সিম বিক্রির কাগজপত্র এবং ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিটিসিএলে পাঠানো বিভিন্ন ইনভয়েসের কপি সংগ্রহ করে।
সেই কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রবি অপরিশোধিত সম্পূরক শুল্ক ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এছাড়া স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ছয় কোটি ৭৪ লাখ, কম প্রদর্শিত সিমের ওপর প্রদেয় মূসক ৮১ লাখ এবং বিটিসিএলকে প্রদত্ত সেবার ওপর প্রদেয় মূসক ৮১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। রবি আজিয়াটা এ রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ ওই অর্থ ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ভ্যাট আইনের আওতায় রবির ব্যাংক হিসাব আগামী তিন কার্যদিবস জব্দ রাখতে ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবির কমিউনিকেশনস অ্যান্ড করপোরেট রেসপনসিবিলিটি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবীর শেয়ার বিজকে বলেন, ‘এটি কর ফাঁকি নয়। এনবিআরের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের চলমান বিবাদের অংশ এটি।’
তিনি বলেন, ‘চিঠিতে মূল্য সংযোজন কর আইনের ২৬ ধারার রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ ধারার বিধান কার্যকর করার ক্ষেত্রে করদাতার অনুকূলে শুনানির সুযোগদান-সংক্রান্ত আইনের অন্যান্য বিধানাবলি অনুসরণ করতে হবে। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা যে, আমরা এক্ষেত্রে কোনো শুনানির সুযোগ পাইনি। লক্ষণীয় যে, এই চিঠিতে এমন কিছু বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে, যা মাননীয় আদালতে বিচারাধীন।’