বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুদেশের মধ্যকার কানেক্টিভিটি বাড়লেও সামনের দিনগুলোয় তা আরও বাড়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সফররত ইন্ডিয়ান মুসলিম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান দাউদ খানের নেতৃত্ব ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় গতকাল সোমবার তিনি এ কথা বলেন।

তিনি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতিমালা সংস্কারের পাশপাশি নতুন নীতিমালা প্রণয়নে ঢাকা চেম্বার দীর্ঘদিন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে আসছে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বের ৩০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে হলে যোগাযোগ অবকাঠামো বিশেষ করে সড়ক, রেল, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে প্রায় ৩২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন। তিনি এ খাতগুলোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

ইন্ডিয়ান মুসলিম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান দাউদ খান জানান, ১০ বছর আগে এ চেম্বার স্থাপিত হয়েছে, মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাই এ চেম্বারের সদস্য। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইন্ডিয়ান মুসলিম চেম্বার সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণের পাশাপাশি কর-নীতিমালা সংস্কার, শিল্প খাতের দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সহজীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। প্রতিনিধিদলের নেতা বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতে সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে এবং তিনি এ খাতের বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের ভারতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি দুদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে চেম্বারগুলোর যোগাযোগ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের হালাল খাদ্যের বাণিজ্য হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারে। তিনি আরও জানান, ইন্ডিয়ান মুসলিম চেম্বার থেকে হালাল পণ্যের মান যাচাইয়ে সনদ দেওয়া হয়, যা সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। এ বিষয়ে ডিসিসিআই’র সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ পর্যায়ে ডিসিসিআই’র সভাপতি আবুল কাসেম খান দুই চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগ্রহ জানান। ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদার, পরিচালক আকবর হাকিম, ইমরান আহমেদ, আতিক-ই-রাব্বানী, রাশেদুল আহসান, মো. আলাউদ্দিন মালিক, মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির এবং ইন্ডিয়ান মুসলিম চেম্বারের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০