শেয়ার বিজ ডেস্ক : সৌদি আরবের জেদ্দায় বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চাকরি হারাবেন বিদেশি কর্মীরা। সেখানে এক হাজার পাঁচশ’র বেশি বিদেশিকে চাকরিচ্যুত করে স্থানীয় নাগরিকদের নিয়োগ দেওয়া হবে। খবর সৌদি গেজেট।
জেদ্দা এয়ারপোর্টের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল-রাইমি সব এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশ দেন। সেখানে বলা হয়, বিমানবন্দরটিতে প্রবাসীদের সরিয়ে এক হাজার ৫০০ সৌদি নাগরিককে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নির্দেশ খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সরকারি এই নির্দেশটি ঠিকঠাকভাবে পালন করা হচ্ছে কি না তা দেখতে বিমানবন্দরে একটি দল নিয়মিত পরিদর্শনও করবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সৌদি আরবের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশটির কর্মক্ষেত্র সৌদিকরণের জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেদ্দা বিমানবন্দরের মুখপাত্র তুর্কি আল তৈয়িব।
উল্লেখ্য, নাগরিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সৌদি আরব। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি ১২টি খাতে বিদেশিদের কাজের সুযোগ বন্ধে একটি খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে দেশটির শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (এমএলএসডি)। ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবের বেকারত্বের হার ১১ দশমিক ছয় শতাংশ থেকে সাত শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে মুদি ও কনফেকশনারি দোকানগুলোর শতভাগ মালিকানা দেশটির নাগরিকদের হাতে দিয়েছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে সৌদি নাগরিকদের ২০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
শুধু মুদি, কনফেকশনারি ও পরিবহন খাত নয়, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতেও বিদেশি নাগরিকদের কর্মসংস্থান সীমিত করেছে সৌদি আরব। নতুন সংস্কার নীতির আওতায় প্রবাসীদের পোষ্য ফিও বাড়ানো হয়েছে। এসব উদ্যোগে ইতোমধ্যে দেশটিতে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে।
মূলত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উদ্যোগেই ভিশন ২০৩০ নামে একটি সংস্কার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, যাতে আমূল বদলে যাচ্ছে হাজার বছরের কট্টরপন্থি জ্বালানি তেলনির্ভর দেশ সৌদি আরব। এর মধ্যে রয়েছে তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসা, প্রযুক্তি খাতে তরুণ নাগরিকদের কর্মসংস্থানে নতুন নতুন খাত তৈরি, নারীর ক্ষমতায়ন ও নাগরিকদের জীবনযাপনের ওপর কড়াকড়ি শিথিলের মতো বিষয়গুলো।