শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, দিনাজপুর: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশি সম্পদের সুষ্ঠু ও সমন্বিত ব্যবহারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে। প্রাকৃতিক সম্পদ অফুরন্ত নয়। আগামীর চাহিদা লক্ষ রেখে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে আরও আন্তরিক হয়ে কাজ করা উচিত।
গতকাল শুক্রবার দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পে ৯নং স্টোভ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, উত্তোলিত পাথরের বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকেই এ প্রতিষ্ঠান লাভজনক হবে।
বর্তমানে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানির (এমজিএমসিএল) বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা এক দশমিক ৬৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। আগামী বছর থেকে সাড়ে সাত মিলিয়ন মেট্রিক টন উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বর্তমানে জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) ১২টি স্টোপ উন্নয়নের মাধ্যমে ৯ দশমিক দুই মিলিয়ন মেট্রিক টন কঠিন শিলা উত্তোলনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে ১৭৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন কঠিন শিলা রয়েছে। ২০ মার্চ পর্যন্ত তিন দশমিক ৭৭৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন শিলা উত্তোলিত হয়েছে, যার মধ্যে এক দশমিক ৭২ মিলিয়ন মেট্রিক টন জিটিসি উত্তোলন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রচুর উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দৈনিক মাত্র পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। দৈনিক ৩০ হাজার মেট্রিক টন উত্তোলন করা গেলে দেশের সম্পদ ব্যবহারের পাশাপাশি বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। এখন প্রয়োজন শুধু নিজেদের তৈরি করা, পাথর উত্তোলনেও আমাদের তৈরি হতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী পরে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানির উন্নয়ন ও অগ্রগতি পরিকল্পনা নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যন আবুল মনসুর মো. ফয়েজ উল¬াহ, মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানির এমজিএমসিএল বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন, এমজিএমসিএলের মহাব্যবস্থাপক এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব, জিটিসি’র চেয়ারম্যান ড. সিরাজুল ইসলাম কাজী ও জিটিসি’র প্রকল্প পরিচালক আলিসকসেন্দ্রো মালসব বক্তব্য রাখেন।