নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকায় তিন দশমিক চার একর জমিতে রতনপুর রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের উন্নয়ন প্রকল্প কাজে স্থানীয়দের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি স্থানীয় সন্ত্রাসীরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে বলে অভিযোগ করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান গ্রুপের সহ-মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) মো. মোস্তফা কামাল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রতনপুর গ্রুপের ব্যবস্থাপক (কমার্শিয়াল) দেওয়ান মাবুদ আহমেদ, ব্যবস্থাপক (সেলস) ওবাইদুল হক, ব্যবস্থাপক (অডিট) মোস্তফা হোসাইন, ব্যবস্থাপক (পারচেজ) নাজমুল হুদা ও
সহ-ব্যবস্থাপক (প্রকল্প) প্রকৌশলী সুমন বাবু।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর ও ২০১৪ সালের ২০ মার্চ ওই জমি ক্রয় করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকে কোম্পানি ওই জমি রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। কিছু পরিবার ওই জায়গায় ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান করছে। তাদের ঘর ছেড়ে দিতে বললে উল্টো নিজেদের দখলদার দাবি করে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে। পাশাপাশি প্রকল্পের কাজে বহিরাগতরা বাধা দিচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে মোস্তফা কামাল বলেন, কিছু সমাজবিরোধী ও অনুপ্রবেশকারী আমাদের জায়গায় মাদকের ব্যবসাসহ অনৈতিক কাজ চালিয়ে আসছিল। সীমানা বেড়া নির্মাণের কারণে তাদের মাদক ব্যবসাসহ অবৈধ কাজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেখে স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে মিথ্য তথ্য দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিচ্ছে। তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এতে ওই সন্ত্রাসীচক্র ক্ষিপ্ত হয়ে কাউন্সিলর ও প্রশাসনকে রতনপুর রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে, যাতে কোম্পানির সুনাম ক্ষুণœ হয়। অথচ রতনপুর এস্টেটের জায়গায় যেসব বাসিন্দা আছেন, তাদের দাবি অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২৬ মার্চ সীমানা বেড়া দিতে গেলে শ্রমিকদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ চালায়। আহত হন চার-পাঁচ শ্রমিক। পুলিশ এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
