‘নারীরা এ হাটের লক্ষ্মী’

 

রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়াত মজিবুর রহমান ভূইয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু’র ব্যবস্থাপনায় চলছে গাউসিয়া হাট। এক আলাপনে হাটটির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলেছেন এই  শিল্পপতি ও ব্যবসায় উদ্যোক্তা

মার্কেটের জন্ম কবে?

মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু: ১৯৭৯ সালে অল্প কয়েকটি দোকান নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এ মার্কেটের। তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল খুবই নাজুক।

 

নারী ক্রেতারা কেন আসেন এখানে?

দিপু ভূইয়া: আসলে এ মার্কেটটি করা হয়েছে শুধু নারীদের জন্য। এদেশে অনেক হতদরিদ্র পরিবার রয়েছে। নারীদের অবস্থা আরও নাজুক। তারা যেন কম দামে এখান থেকে কাপড় কিনে নিয়ে বিক্রি করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারে সেজন্যই হাটটি করা হয়েছে। এ কারণে নারীরা আসে এখানে।

 

নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন?

দিপু ভূইয়া: নিরাপত্তায় কোনো ত্রুটি নেই। মার্কেটের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোনো নারী ক্রেতা ছিনতাই কিংবা প্রতারণার শিকার হয়েছে, এ তথ্য নেই। নিরাপত্তার স্বার্থে মার্কেটের বিভিন্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো আছে। ক্রেতার কথা ভেবেই ফাঁড়ি পুলিশের কার্যালয় রয়েছে এখানে।

 

বর্তমান অবস্থা কেমন?

দিপু ভূইয়া: বর্তমান অবস্থা খুবই ভালো। তবে যানজট অন্যতম প্রধান সমস্যা। মার্কেটের পাশঘেঁষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চলে গেছে। এখানে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। এ সমস্যার সমাধান হলে ভালো হতো।

 

আর কোনো সমস্যা আছে কি?

দিপু ভূইয়া: যানজট ছাড়া আপাতত আর কোনো সমস্যা নেই।

 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু বলুন

দিপু ভূইয়া: আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। এ মার্কেটের আট কিলোমিটার দূরে গড়ে উঠছে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ স্যাটেলাইট শহর পূর্বাচল উপশহর। গড়ে উঠছে আরও বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প। তাই মার্কেটের পরিসর বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী ক্রেতাদের জন্য চারটি নারী রেস্ট হাউজ গড়ে তোলার ইচ্ছা রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০