শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, রংপুর: রংপুরের মিঠাপুকুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এনজিওর ঋণগ্রহীতারা কিস্তি দিতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন। তাদের তাড়া করে ফিরছেন বিভিন্ন এনজিও ও সমিতির কর্মীরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মার্চ ঝড়ে উপজেলার প্রায় ৩০টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় দুই হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ধান ও ২০০ হেক্টর ভুট্টা ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত ৩০ মার্চ রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বাড়িঘর ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক কৃষক স্থানীয় কিছু এনজিও, সমিতি ও দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ধান, পাট, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করেছিলেন। এ অবস্থায় মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে কিস্তির জ্বালা। কিন্তু ফসল ও ঘরবাড়ি নষ্ট হওয়ায় কিস্তি দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
কৃষক আহাদ আলী জানান, তিনি স্থানীয় কার্ব ফাউন্ডেশন থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে পাট ও ভুট্টা আবাদ করেছিলেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ তার ক্ষেতের ফসল লণ্ডভণ্ড করেছে। এখন অন্য এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আগের ঋণ শোধ করতে হবে।
বারোঘরিয়া গ্রামের ছিদ্দিকা বিবি জানান, ঝড়ের কারণে ফসল ও ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। কিস্তি না দিলে আর ঋণ দিবে না বলে হুমকি দেয় কিস্তির মাস্টাররা।
ক্ষুদ্রঋণদাতা প্রতিষ্ঠান আশার এক মাঠকর্মী জানান, কেউ কিস্তি শোধ না করলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তাদের জবাবদিহি করাতে হয়। কখনও কখনও নিজের পকেট থেকে কিস্তি শোধ করতে হয়, নয় তো শাস্তিমূলক পদক্ষেপের সম্মুখীন হতে হয়। আশার ঋণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর জানান, তারা ঋণ আদায়ে কোনো চাপ দিচ্ছেন না। তবে নতুন ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরোনো ঋণ শোধ করতে হচ্ছে।
কার্ব ফাউন্ডেশন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা সুজন হোসেন জানান, আমরা চলতি সপ্তাহ কিস্তি আদায় করিনি, জোর করে কিস্তি আদায় করা হচ্ছে না। কার্ব ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল রহমান জানন, তারা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে কিস্তি আদায়ে নমনীয় হয়েছেন। কেউ দিতে না পারলে কিস্তি নেওয়া হচ্ছে না।