মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

গত সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল এক হাজার চার টাকা ৪০ পয়সা, যা গতকাল লেনদেন হয় এক হাজার ১৫২ টাকা ৯০ পয়সায়। এ হিসাবে তিন কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১৪৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।

গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ১৩ শতাংশ বা ১২ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ এক হাজার ১৪১ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল এক হাজার ১৫২ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ৩৭ হাজার ২৪২টি শেয়ার এক হাজার ১৯৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ৩৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ এক হাজার ১২৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ১৯৭ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৮৪০ টাকা থেকে এক হাজার ২৬৫ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ টাকা ৬৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৪৩ টাকা সাত পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে চার কোটি তিন লাখ ৯০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। পাঁচ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪১ টাকা ৭০ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১১২ টাকা আট পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল চার কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ৪৪ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে এক টাকা ৮০ পয়সা ছিল। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ৩৬ পয়সা। অন্যদিকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি ছিল ১৪১ টাকা ৭৬ পয়সা দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময় ১১০ টাকা ২৬ পয়সা ছিল।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৫ টাকা ৬২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৫ টাকা দুই পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৬০ পয়সা।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০