নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা পদ্ধতির সংস্কারে কীভাবে কাজ এগোবে সে বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন এ মন্ত্রণালয়ের সচিব। গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান তার দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেগুলো শুনেছি। তিনি কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করেছেন, আবার তিনি প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যাতে স্বার্থ সংরক্ষিত হয় সে বিষয়ে পৃথক ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন। আমি এখন অপেক্ষায় আছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যেভাবে অগ্রসর হতে বলবেন আমি সেভাবে বাকি কাজ করব।’
সব কোটা বাতিল হবে কি না এই প্রশ্নে মোজাম্মেল বলেন, ‘সেটা যখন প্রজ্ঞাপন জারি করব তখন আরও বিশ্লেষণ করে সেগুলো স্পষ্ট করব। সেগুলোর ক্ষেত্রে সরকারপ্রধানের কাছ থেকে সুস্পষ্ট পরামর্শ ও নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা নেব। প্রজ্ঞাপনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
প্রজ্ঞাপন কবে হতে পারে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘এটা খুব জরুরি না এখন, কারণ এখন তো নিয়োগ হয়ে যাচ্ছে না। কাজেই আমরা যদি একটু সময় নিই, তাহলে দেশের কোনো ক্ষতি হবে না।’
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ বিভিন্ন কোটায় সংরক্ষণের যে নিয়ম রয়েছে তা সংস্কার করে কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে গত রোববার থেকে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে আসছিল শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।
তাদের ওই আন্দোলনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের কোটা পদ্ধতি একেবারেই তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন।
গত বুধবার জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, ‘বারবার এই আন্দোলন ঝামেলা মেটানোর জন্য কোটা পদ্ধতি বাতিল পরিষ্কার কথা, আমি এটাই মনে করি, সেটা হলো বাতিল।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘আন্দোলন যেভাবে হয়েছিল, তাতে ৭ মে পর্যন্ত আল্টিমেটাম ছিল। তারপরও আবার নতুন করে আন্দোলন করা হয়েছে, যার ফলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেছেন ঘোষণা দেওয়াটা জরুরি, তাই দিয়েছেন। আমি মনে করি, পরবর্তী কাজ এখন আমাদের নির্দেশনার অপেক্ষা। সেটা হলেই আমরা করে ফেলব।’
শুধু বিসিএস চাকরি, নাকি সব কোটা বাতিল হচ্ছে এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘সব ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে। তবে এ কথা বলি যে, আরও ছোট ছোট দফতর, টেকনিক্যাল অনেক পদ আছেÑসেগুলোর সঙ্গে মেলানো ঠিক হবে না, এগুলোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’