মাওয়ায় মাছের আড়তে কোটি টাকা বিকিকিনি

শেখ মোহাম্মদ রতন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ার মাছের আড়তে ভোরের সুর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা নদীর বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা থেকে জেলেরা তাজা মাছ ধরে নিয়ে আসেন। ইলিশের মৌসুমে এ মাছ বিকিকিনি নিয়ে আড়ত থাকে সরগরম। তবে পয়লা বৈশাখের আগে এটির চাহিদা অনেকগুণ বেড়ে যায়। ফলে বিকিকিনি ছাড়িয়ে যায় স্বাভাবিক সময়কে।

পদ্মার ইলিশের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশেই। এজন্য সারা দেশেই আলোচিত মাওয়া মৎস্য আড়ত। প্রায় দুই যুগের বেশি আগে প্রতিষ্ঠিত এ আড়তে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেমন মাছ ব্যবসায়ীরা তাদের মাছ বিক্রির জন্য আসে, তেমনি ঢাকাসহ দূরদূরান্তের পাইকাররাও এখানে আসে তাজা মাছ কিনতে।

দাম একটু চড়া হলেও তাজা মাছের কোনো ধরনের জুড়ি নেই। এখানে সন্ধ্যারাতে আসা কিছু কিছু মাছে বরফ দেওয়া থাকলেও ফরমালিনমুক্ত মাছ এ বাজারে পাওয়া যায়। মাত্র দুই ঘণ্টার এ মৎস্য আড়তে প্রতিদিন এক থেকে দেড় কোটি টাকার মাছ বিকিকিনি হয়ে থাকে।

মাওয়া মৎস্য আড়তের সেক্রেটারি মো. হামিদুল ইসলাম জানান, বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, ময়মনসিংহসহ পদ্মা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জেলেরা এখানে মাছ নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। সাধারণত ইলিশসহ বড় বড় মাছ এখানে আসে বেশি। প্রতিদিন এ আড়ত থেকে এক কোটি টাকার মাছ বিকিকিনি হয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, মুন্সীগঞ্জ (বিক্রমপুর) ও ঢাকাসহ দেশের দূরদূরান্ত থেকে মাছের পাইকাররা এখানে এসে মাছ কিনে নিয়ে বিভিন্ন বাজারগুলোয় সরবরাহ করে থাকে। ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মাত্র দুই ঘণ্টা বেচাকেনা হয়। যেদিন মাছ বেশি আসে সেদিন কিছুটা বেশি সময় ধরে এখানে মাছের বেচাকেনা হয়। তবে মাত্র দুই ঘণ্টায় কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়ে থাকে। মাছের দামটা একটু বেশি হলেও তাজা ও ভেজালহীন মাছের জন্য এ আড়তের সুনাম ইতোমধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন দেশের লোকের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখানে মাছ বেচাকেনা হয় নিলামে বা ডাকের মাধ্যমে। আবার বড় মাছ কেজি দরেও পাওয়া যায়। এদিকে এ মৎস্য আড়তটিতে গড়ে উঠেছে ২৯ আড়তদারের সমন্বয়ে একটি সমবায় সমিতি। এর আয়ব্যয় সমিতির সদস্যরা ভোগ করে থাকেন। এ সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় এখানে পাইকাররা কখনও কোনো দুর্ঘটনার শিকার হননি।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০