শেয়ার বিজ ডেস্ক : চীনের কোম্পানি জেডটিই করপোরেশনের প্রস্তুত করা স্মার্টফোন ও অন্য সরঞ্জাম বিক্রির ওপর সাত বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ। চুক্তি অমান্য করে ইরানে অবৈধভাবে পণ্য রফতানির অভিযোগে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। খবর রয়টার্স।
গত সোমবার বাণিজ্য বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কেউ দেশটির সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য করেছে চীনের কোম্পানিটি। তাই যুক্তরাষ্ট্রে এর পণ্য বিক্রিতে সাত বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো জেডটিই থেকেই ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পণ্য কেনে। প্রতিষ্ঠানটি স্মার্টফোন ও তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্ক তৈরির গিয়ার সরবরাহ করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধজ্ঞায় চীনা প্রতিষ্ঠানটির জন্য বিপর্যয় বয়ে আনবে বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।
ইতোমধ্যে অবৈধ রফতানির সঙ্গে জড়িত চার কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেডটিই করপোরেশন। আরও অন্তত ৩৫ কর্মকর্তার বোনাস হ্রাস করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে কোম্পানিটি।
গত বছর নিষেধাজ্ঞার এক চুক্তি উপেক্ষা করে মার্কিন ও চীনা পণ্য অবৈধভাবে ইরানে রফতানির অভিযোগে টেক্সাস আদালতে জেডটিইর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ওই অভিযোগে কোম্পানিটি ইতোমধ্যেই ৮৯০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা পরিশোধ করেছে। আরও ৩০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য বিভাগের কর্মকর্তা এরিক হির্সচরন বলেন, যদি জেডটিই এ সমস্যার সমাধান না করতে পারে, তাহলে তাদের ব্যবসায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। চুক্তি ভঙ্গের কারণে অনেক ব্যাংক ও কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করতে পারেনি এমন নজির রয়েছে।
এদিকে কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার এ খবরে গতকাল মঙ্গলবার হংকং ও সেনজেনে জেডটিইর শেয়রদরে পতন ঘটে। শুধু জেডটিইর শেয়ারই নয়, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বাণিজ্য করে এমন কোম্পানির শেয়ারদরেও পতন ঘটে। অপটিকাল নেটওয়ার্কিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক অ্যাসাসিয়া কমিউনিকেশনের শেয়ারদর ৩৫ শতাংশ পড়ে যায়। এতে গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনি¤œ পর্যায়ে চলে আসে শেয়ারদর। ২০১৭ সালের অ্যাসাসিয়ার আয়ের ৩০ শতাংশই এসেছে জেডটিইর পণ্য বিক্রি থেকে। অ্যাসাসিয়া বলছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের কী পরিমাণ ক্ষতি হবে তা হিসাব করা হচ্ছে।
জেডটিইর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখছেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
