শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারত ও থাইল্যান্ডে রেকর্ড উৎপানে অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কমেছে। গত মঙ্গলবার পণ্যটির দাম কমে আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। অন্যদিকে অ্যারাবিকা কফির দামও ৯ মাসে মধ্যে সর্বনিন্মে চলে এসেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
আগামী আগস্টে সরবরাহের চুক্তিতে লন্ডনের ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে মঙ্গলবার দিন শেষে প্রতি পাউন্ড অপরিশোধিত চিনির দাম ১১ ডলার ৮১ সেন্টে স্থির হয়। আগের দিনের তুলনায় এ দাম ১৭ সেন্ট বা এক দশমিক চার শতাংশ কম। লেনদেনের শুরুর দিকে দাম নেমে এসেছিল ১১ ডলার ৭৭ সেন্টে। গত আড়াই বছরের মধ্যে এটিই চিনির সর্বনি¤œ দাম। এদিন পরিশোধিত চিনির দামও আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬৫ শতাংশ কমেছে। দিন শেষে প্রতি টন পরিশোধিত চিনি বিক্রি হয় ৩৩৮ ডলার ৪০ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় দুই ডলার ২০ সেন্ট কম। তবে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে পণ্যটির দাম টনপ্রতি ৩৩৬ ডলারে নেমেছিল, যা ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের পর সর্বনি¤œ।
ব্যবসায়ীরা বলছে, ভারত ও থাইল্যান্ডে উৎপাদন ভালো হয়েছে। এতে অতিরিক্ত সরবরাহের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিলে উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু নতুন মাড়াই মৌসুমে এ শঙ্কা কেটে গেছে। তাই দেশটিতেও ভালো উৎপাদন হবে আশা করা হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম নি¤œমুখী ধারায় রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও মনে করেন তারা।
নিউইয়র্কের বাজারে আগামী জুলাইয়ে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি টন কোকো বিক্রি হয় দুই হাজার ৭০৪ ডলারে, যা আগের দিনের সমান। তবে লেনদেনের শুরুতে পণ্যটির দাম উঠেছিল দুই হাজার ৭২৫ ডলারে, ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। অন্যদিকে লন্ডনের বাজারে আগামী জুলাইয়ে সরবরাহের চুক্তিতে পণ্যটি টনপ্রতি এক হাজার ৮২০ পাউন্ডে বেচাকেনা হয়, যা আগের দিনের তুলনায় ছয় পাউন্ড বা দশমিক তিন শতাংশ কম।
এদিকে লন্ডনের ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে এদিন অ্যারাবিকা কফির দাম কমলেও রোবাস্তা কফির দাম বেড়েছে। দিন শেষে আগামী জুলাইয়ে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি পাউন্ড অ্যারাবিকা কফি বিক্রি হয় এক দশমিক ১৬২৬ ডলারে, যা আগের দিনের তুলনায় ৩০ সেন্ট বা দশমিক তিন শতাংশ কম।