নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসের পাঁচ বছরের মাথায় এখন আর আহত কেউ টাকা নিতে বিজিএমইএ’র কাছে আসেননি এখনও রানা প্লাজা ট্রাস্ট ফান্ডে টাকা পড়ে আছে কেউ এলেই তাকে চাকরি আর টাকা দেওয়া হবে এমনটাই দাবি তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র।
গতকাল রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনের সভাকক্ষে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পাঁচ বছর সামনে রেখে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি আড়াই বছর ধরে বিজিএমইএ’র দায়িত্বে আছি এ সময়ের মধ্যে ওই দুর্ঘটনায় আহত কোনো শ্রমিক আমার কাছে চাকরি বা টাকা চাইতে আসেননি আর কেউ আসবেন বলেও আমার মনে হয় না’। এ সময় রানা প্লাজায় আহত, নিখোঁজ ও মারা যাওয়া শ্রমিকদের পরিবারকে মোট ২৮০ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সিদ্দিকুর রহমান
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজায় ভবন ধসের ঘটনা ঘটে ওই ভবনে মোট পাঁচটি কারখানা ছিল, যেগুলোতে কর্মরত ছিলেন প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক ওই দুর্ঘটনায় ১১০০’র বেশি শ্রমিক নিহত, দুই হাজারের বেশি আহত ও প্রায় এক হাজার শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের বর্তমান জীবনমান নিয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলোর করা কিছু জরিপের সমালোচনা করেন একই সঙ্গে এগুলো প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ‘এসব জরিপ ভিত্তিহীন এনজিওগুলো কোনো কিছু না জেনেই কথা বলে তারা ২০০ শ্রমিককে ফোনে ইন্টারভিউ নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন দেয়, যেখানে এ খাতে লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন এটা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়’।
বিশ্বের কয়েকটি বড় শিল্প দুর্ঘটনার উদাহরণ দিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এসব দুর্ঘটনা নিয়ে এত বেশি প্রপাগান্ডা হয়নি, যেভাবে রানা প্লাজা নিয়ে এখনও হচ্ছে তার অভিযোগ, পোশাকশিল্প নিয়ে গর্ব করার মতো অনেক ইতিবাচক বিষয় থাকলেও সেগুলো নিয়ে কখনও তেমন আলোচনা হয় না।
বর্তমানে বাংলাদেশের পোশাক খাত কেমন আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিদ্দিকুর রহমান দাবি করেন, দেশের পোশাক খাত এখন বিশ্বে রোল মডেল হওয়ার দাবি রাখে তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে আমরা অনেক এগিয়েছি আমাদের পোশাক খাত এখন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরাপদ এটি ঘোষণা করা যেতে পারে ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্র্যান্ড, বিজিএমইএ ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের প্রতিনিধি সমন্বয়ে ট্রানজেশনাল অ্যাকর্ড গঠিত হতে যাচ্ছে এই ট্রানজেশনাল অ্যাকর্ড ছয় মাস এখানে কাজ করবে ।
এছাড়া চলতি বছর আন্তর্জাতিক ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম শেষ হচ্ছে এ পরিস্থিতিতে অ্যালায়েন্স বিজিএমইএসহ সব স্টেকহোল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে একটি নতুন সেফটি মনিটরিং অর্গানাইজেশন (এসএমও) নামে প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে
