সা ত কা হ ন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান নিহান। ‘লাইফ ইজ ভেরি ইজি’ নামে একটি সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
হতাশা থেকে মানুষকে মুক্ত করার অনলাইনভিত্তিক মেন্টরিং আইডিয়া এই লাইফ ইজ ভেরি ইজি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু মাশাহেদ হাসানকে সঙ্গী করে তিনি তৈরি করেছেন প্ল্যাটফর্মটি। চেষ্টা করছেন হতাশায় ভোগা মানুষদের পাশে দাঁড়াতে।
নিহানের বাড়ি মাগুরা হলেও বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা কাটে নাটোরে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথা বলতে স্টেজে ডাকা হয় তাকে। তখন খুব শান্ত ছিলেন আর এত মানুষের সামনে কথা বলাটা ছিল চ্যালেঞ্জের। ভয়ে-লজ্জায় কোনো কথা না বলেই নেমে পড়েন কাঁদো কাঁদো হয়ে আর বুঝতে পারেন শুধু পড়াশোনায় ভালো হলেই হয় না, নিজেকে প্রকাশ করতে জানতে হয় বিভিন্নভাবে। এই
ঘটনাটি তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।
চরম অসুস্থতা নিয়ে নিহান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। ফলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন থেকে ছিটকে পড়েন। রেজাল্টের পরদিন রেলস্টেশনে বসে দেখেন একটা ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে আর কিছু মানুষ দৌড়াচ্ছে এর পেছনে। তারা সেটা মিস করে। কিছুক্ষণ পর অন্য ট্রেনে ওঠে তারা। সামান্য এই ব্যাপারটা তার মনকে ভীষণ নাড়া দেয়। ভাবেন এইচএসসির ফল জীবনের একটা ট্রেন, যা তিনি মিস করেছেন। তাই বলে অন্য কোনো পথে বা মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে না, তা নয়। আবার শুরু। খোঁজ-খবর নিয়ে নিজের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে পড়ার সুযোগ পান। সাইকোলজি রিলেটেড পড়াশোনাসহ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চিন্তা করা ও কাজ করার সুযোগ হয় এখান থেকেই।
‘লাইফ ইজ ভেরি ইজি’ নিয়ে রয়েছে তার সুদূরপ্রসারী চিন্তা। তিনি চান বিশ্বের সব মানুষ যেন সেলফ মোটিভেটেড মানুষ হয়, প্রাণ খুলে হাসতে পারে। নিজের সিদ্ধান্ত যেন নিজে নিতে পারে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। দেশ-বিদেশের করপোরেটে ট্রেনিংসহ ভেঙে পড়া মানুষদের পারসোনাল কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা তার লক্ষ্য।
দেশের বাইরের কোনো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফট স্কিল ট্রেনিং ও মানসিক
স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আবার দেশের জন্য কাজ করার ইচ্ছা আছে ফাহিম হাসান নিহানের।

বেনজীর আবরার

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০