ব্যাংকের বাড়লেও বিমা খাতের লেনদেন কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকের লেনদেন সপ্তাহের ব্যবধানে সামান্য বেড়েছে। আলোচিত সময়ে বিমা খাতের লেনদেন কমেছে। এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমায় লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তথ্যমতে, গেল সপ্তাহে মোট লেনদেনে ব্যাংক খাতের দখলে ছিল ১৯ শতাংশ। এ সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৮৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেনে খাতটির অংশগ্রহণ ছিল ১৭ শতাংশ। ওই সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংক খাতের লেনদেন বেড়েছে দুই শতাংশ। একই সঙ্গে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেন।
অপরদিকে, গেল সপ্তাহে মোট লেনদেনে বিমা খাতের অংশগ্রহণ ছিল চার শতাংশ। এ সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেনে বিমা খাতের অংশগ্রহণ ছিল সাত শতাংশ। ওই সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৩২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে খাতটির লেনদেন কমেছে তিন শতাংশ। আলোচিত সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেনও কমে গেছে।
জানা গেছে, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের শেয়ার সর্বশেষ ১২৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার ১১৯ টাকায় লেনদেন হয়েছিল। রূপালী ব্যাংকের শেয়ার সর্বশেষ ৫৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ার ৪৯ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল। শুধু ডাচ্ বাংলা, রূপালী ব্যাংক নয় বেশকিছু ব্যাংকের শেয়ারদর গেল সপ্তাহে সামান্য বেড়েছে।
অপরদিকে, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার সর্বশেষ ১০৮ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ার ১১৮ টাকায় লেনদেন হয়েছিল। প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর সর্বশেষ ১০৭ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে শেষ কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ার ১১০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। শুধু ডেল্টা ও প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স নয় অধিকাংশ বিমা কোম্পানির শেয়ারদর সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে লেনদেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাজার ঘুরে দাঁড়ালে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে যায়। দীর্ঘ মন্দার পর শেয়ারদর বাড়ার কারণে বিনিয়োগকারীরা মাঝে মধ্যে মুনাফা বের করার চেষ্টা করে, এতে বাজারের লেনদেন প্রভাব পড়ে। এছাড়া গত সমাপ্ত হিসাববছরে যেসব প্রতিষ্ঠান আগের বছরের চেয়ে সামান্য বেশি পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তার সংখ্যা খুবই কম। কিছু কোম্পানির আগের বছরের মতো বা তার চেয়ে কম লভ্যাংশ প্রদান করছে। এসব কোম্পানির লভ্যাংশে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়েছে। ফলে লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন তারা।
এ সম্পর্কে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বর্তমান সময়ে ব্যাংক বিমা ও আর্থিক খাতের লভ্যাংশের মৌসুম চলছে। এ সময় লভ্যাংশে আকৃষ্ট করতে না পারলে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারায়। যার ফলে লেনদেনেও প্রভাব পড়ে।
পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গেল সপ্তাহে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও ৯ দশমিক দুই পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া বিমা খাতের পিই রেশিও ১১ দশমিক শূন্য পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক এক পয়েন্টে এবং বিমা খাতের পিই রেশিও ছিল ১১ দশমিক পাঁচ পয়েন্টে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যতদিন পর্যন্ত পিই রেশিও ১৫-এর ঘরে বা তার আশেপাশে অবস্থান করে ততদিন বিনিয়োগ নিরাপদ। সে হিসেবে আলোচিত দুটি খাতের পিই রেশিও নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতের ৩০টি এবং বিমা খাতের ৪৭টি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০