নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, প্রযুক্তির বহুমুখীকরণের ফলে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি বহুগুণ বেড়েছে। তিনি বলেন, পাট থেকে শুধু ছালা ও বস্তা উৎপাদনের ওপর নির্ভর করলে চলবে না, বরং টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে পাটপণ্য ব্যবহারের প্রক্রিয়া উদ্ভাবনে আরও নিবিড়ভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে দু’দিনব্যাপী কৃষিমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের পাটের জেনম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা পাটের স্বত্বাধিকার অর্জন করেছি। ইতোমধ্যে সরকার লবণসহিষ্ণু পাটের জাত আবিষ্কার করেছে। এ জন্য উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। আরও বড় পরিসরে গবেষণা বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউএসএআইডির এভিসি প্রকল্পের সহায়তায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এ মেলার আয়োজন করে। ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন।
স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিল্পনির্ভর অর্থনীতির ভিত্তি হিসেবে কৃষির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি কৃষি খাতের উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম, উন্নত সার ও বীজ প্রদান এবং পণ্যের বহুমুখীকরণে কৃষি ভর্তুকি আরও বৃহত্তর পরিসরে প্রদান করা প্রয়োজন।
চেম্বার সভাপতি বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং কৃষিজ উৎপাদন সহায়ক উপকরণের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা সম্প্রসারণে এ খাতের উদ্যোক্তাদের এসএমই ফিন্যান্সিং ফান্ডের আওতায় সহজ শর্তে এবং জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি জানান, ইউএসএআইডি’র এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইনস প্রকল্পের সহযোগিতায় ঢাকা চেম্বার ইতোমধ্যে কৃষি খাতে বিকল্প বিনিয়োগ ব্যবস্থা, মাঠপর্যায়ে কৃষিভিত্তিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা তৈরিতে জেলাভিত্তিক ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে।
ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি কামরুল ইসলাম এফসিএ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, থাইল্যান্ড প্রতিবছর প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলারের হালাল পণ্য সারা পৃথিবীতে রফতানি করে এবং মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কৃষি খাতের উদ্যোক্তাদের এ ধরনের হালাল পণ্য রফতানিতে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই সহসভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আকবর হাকিম, আন্দালিব হাসান, হোসেন এ সিকদার, হুমায়ুন রশিদ, ইমরান আহমেদ, খন্দকার রাশেদুল আহসান, মামুন আকবর, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, এসএম জিল্লুর রহমান, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম, মো. সবুর খান ও মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির।
