প্রথম প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফায় প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০১৮) পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের (এককভাবে) কর-পরবর্তী মুনাফা প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ শতাংশ। এ সময় সমন্বিতভাবে (কনসলিডেটেড) নিট মুনাফা ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতকাল ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে প্রথম প্রান্তিকের এ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ব্র্যাক ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা (কর পরিশোধের পর) দাঁড়ায় ১৩৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা এর আগের বছরের একই সময় ছিল ১২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়া ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকে সলো ভিত্তিতে নিট মুনাফা ছিল ১১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা ২০১৮ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ১২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কনসলিডেটেড ভিত্তিতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক দশমিক ৪৮ টাকা, যা পূর্ববর্তী বছরের একই সময় ছিল এক দশমিক ৩৪ টাকা। একই সময় এককভাবে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক দশমিক ৪৫ টাকা, যা পূর্ববর্তী বছরের একই সময় ছিল এক দশমিক ১৩ টাকা।
২০১৮ সালের মার্চ শেষে প্রতি শেয়ারে নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) সমন্বিতভাবে দাঁড়ায় ৩২ দশমিক ৬৪ টাকা, যা ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২৭ দশমিক ৪১ টাকা। এককভাবে নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) ২০১৮ সালের মার্চ শেষে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ৯০ টাকা, যা ২০১৭ সালের মার্চ শেষে ছিল ২৬ দশমিক ৪১ টাকা।
স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ বিশ্লেষক ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, যা বিদেশের স্টেকহোল্ডারদের জন্য ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সেলিম আর.এফ. হোসেন ব্যাংকের আর্থিক ফল উপস্থাপন করেন এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়া ব্র্যাক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার এ. কে. জোয়ার্দ্দার, হেড অব ট্রেজারি ও এফআই শাহীন ইকবাল ছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর.এফ. হোসেন বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংক ২০১৭ সালের অসাধারণ অর্জনের ধারাবাহিকতা ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকেও বজায় রেখেছে। দেশের সেরা ব্যাংক হওয়ার অগ্রযাত্রায় ব্যাংকটি ইতোমধ্যেই বড় মাইলফলক অর্জন করেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী বছরগুলোয় প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারব।’