নিজস্ব প্রতিবেদক: বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) ৭৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে, যা সাপ্তাহিক লেনদেনের সাত দশমিক ৪৫ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৫১ লাখ ৬৯ হাজার ২০১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যার বাজারদর ৭৯ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের সাত দশমিক ৪৫ শতাংশ। শেয়ারদর আগের সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়েছে।
কোম্পানির শেয়ারদর সর্বশেষ কার্যদিবসে দুই দশমিক ৫৩ শতাংশ বা ৮০ পয়সা কমে সর্বশেষ প্রতিটি ৩০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩০ টাকা ৯০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন ৯৮ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬৩টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৫২৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ২২ টাকা থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৭৬ টাকা ২৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১০২ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার টাকা। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৫৬ পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ৮৫ টাকা ৮৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ১০৮ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ২৩ দশমিক ৯৫ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২২ দশমিক ৭২।
এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৩৪ কোটি ৫৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ২০০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৮৩ কোটি ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪১০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ, বিদেশি আট দশমিক ৯৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৫৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস ৩৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে এক পয়সা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৭৫ টাকা ৩০ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৭৫ টাকা চার পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৭ কোটি ৫৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩৫ পয়সা যা আগের বছর ছিল ২১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১৪ পয়সা। দুই প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৬৮ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৫৩ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনএভি ছিল ৭১ টাকা ৬৭ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৭৫ টাকা চার পয়সা। ওই সময় মুনাফা করেছে ২৯ কোটি পাঁচ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে আট পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৯ পয়সা। এটি আগের বছর ছিল ৮৭ পয়সা। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা আট পয়সা, আগের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৭৫ টাকা চার পয়সা।
সাপ্তাহিক লেনদেনের ৭.৪৫ শতাংশ বেক্সিমকোর
