নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৭৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ ১৯ কোটি ৫১ লাখ ছয় হাজার টাকা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ বা তিন টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০২টি শেয়ার মোট ৮৬৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১০ কোটি ১৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪০ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৫ টাকা থেকে ৪৩ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে এক টাকা ৮৫ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৭ টাকা ১৮ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৭৭ পয়সা ও ৮১ টাকা ১৯ পয়সা। ওই সময় কর করপরববর্তী মুনাফা করেছে ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ১২ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
‘এন’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি চলতি বছরের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতে ২৯ দশমিক ৮৬ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৪ দশমিক ৪৯। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬১ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
কোম্পানির মোট ১০ কোটি এক লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ৫৩ দশমিক ২৩ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ, বিদেশি ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড। এ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ছয় কোটি ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ছয় লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার।
সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ারদর আট দশমিক ৬০ শতাংশ বা তিন টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪০ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪০ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮৩টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫২৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর আট কোটি ৮৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ২৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৪৩ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৪৩ পয়সা এবং এনএভি ছিল ১৪ টাকা ৬৬ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে তিন কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৫৩ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫১ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ ও ৩৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে ২৫ কোটি ৯৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৪৩৩টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৮১ বার লেনদেন হয়। এর বাজারদর ছিল ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে ছয় দশমিক ৩২ শতাংশ বা এক টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৮ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৮ টাকা ৫০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৮ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২২ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাডভান্ট ফার্মা, প্রাইম টেক্সটাইল, নাভানা সিএনজি, রহিম টেক্সটাইল, হামিদ ফেব্রিকস এবং সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
