শেয়ার বিজ ডেস্ক: মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটের প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের আরও শেয়ার কিনেছে। এতে প্রযুক্তি জায়ান্টটির শেয়ারদর বেড়ে রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। খবর বিবিসি।
ইতোমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের প্রতি শেয়ারের মূল্য গত শুক্রবার ১৮৩ ডলার সাত সেন্টে পৌঁছায়। আগের দিনের চেয়ে এটি প্রায় চার শতাংশ বেশি। এখন পর্যন্ত অ্যাপলের এটিই সর্বোচ্চ দাম।
২০১৬ সাল থেকে অ্যাপলের শেয়ার কেনা শুরু করে বাফেটের প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথ্যাওয়ে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে অ্যাপলের সাড়ে সাত কোটি শেয়ার কিনেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৭ সালের শেষ পর্যন্ত বার্কশায়ারের হাতে অ্যাপলের ১৬ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ছিল। এ নিয়ে বাফেটের হাতে অ্যাপলের মোট শেয়ারের পরিমাণ হলো প্রায় পাঁচ শতাংশ।
২০১৭ সালের শেষ নাগাদ অ্যাপলে বার্কশায়ারের মোট শেয়ারের মূল্য ছিল দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলার। ২০১৮ সালের শুরু থেকে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারমূল্য বেড়েছে আট শতাংশ। আর বাড়তি শেয়ার কেনায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে বার্কশায়ারের মোট শেয়ারের মূল্য চার হাজার ৪০০ কোটি ডলার। এদিকে শেয়ারমূল্য বাড়ায় অ্যাপলের বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারে।
সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাফেট বলেন, ‘এটি একটি অবিশ্বাস্য প্রতিষ্ঠান। আপনি যদি অ্যাপলের দিকে লক্ষ করেন, আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে লাভজনক দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানটির তুলনায় এটি প্রায় দ্বিগুণ আয় করে।’
বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, অ্যাপলের ভালো সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্মার্টফোন বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং প্রতিষ্ঠানের আইফোন বিক্রিতে ধীর গতি এর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন তারা।
কিন্তু আইফোন ছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায় উন্নতির পথে রয়েছে অ্যাপল। এর মধ্যে অ্যাপ স্টোর, অ্যাপল মিউজিক ও অ্যাপল পে’র মতো সেবা রয়েছে। বছরের প্রথম তিন মাসে এক হাজার ৩৮০ কোটি মার্কিন ডলার লাভের হিসাব দিয়েছে অ্যাপল, যা ২০১৭ সালের একই সময়ের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ওমাহাডে অনুষ্ঠিত হবে বার্কশায়ারের শেয়ারধারীদের বার্ষিক সম্মেলন। এই অনুষ্ঠান সামনে রেখেই অ্যাপলের এই শেয়ার কেনার কথা উম্মোচন করলেন বাফেট। ওই সম্মেলনে বার্কশায়ারের ৪০ হাজার শেয়ারধারী অংশ নেবেন।
গতকাল শনিবার বার্কশায়ারের সর্বশেষ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ ১০ বিনিয়োগ করা প্রতিষ্ঠানের তালিকাসহ অন্যান্য বিষয় তুলে ধরা হয়।
গত বছর বাফেট বলেন, আইবিএমের চেয়ে অ্যাপলের শেয়ার নিয়ে তিনি বেশি চিন্তামুক্ত ছিলেন। তার পর থেকে তিনি অ্যাপলে অর্থ বিনিয়োগ অব্যাহত রাখেন।
গত নভেম্বরে বার্কশায়ার এক প্রতিবেদনে বলে, তারা নিজেদের আইবিএম শেয়ারের ৩২ শতাংশ ছেড়ে দিয়ে অ্যাপল শেয়ার বাড়িয়েছে।
