নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ইস্টার্ন রিফাইনারি সক্ষমতা বৃদ্ধি, এলএনজি আমদানি, এলপিজির ব্যবহার বৃদ্ধি, এসপিএম ও পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল পরিবহন জ্বালানি ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন যেভাবে হচ্ছে, তার জন্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেট্রোলিয়াম পণ্যের জোগান যথাসময়ে নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। গতকাল চট্টগ্রামে ইস্টার্ন রিফাইনারির ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫০ বছর পরও ইস্টার্ন রিফাইনারি ৯৫ শতাংশ দক্ষতায় চলছে, যা ইতিবাচক। দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলেছে। এটা সম্পন্ন হলে ইস্টার্ন রিফাইনারি বার্ষিক ৪৫ লাখ মেট্রিক টন তেল পরিশোধন করতে পারবে। আগামীর চাহিদা মাথায় রেখে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাড়ানো প্রয়োজন বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
ইস্টার্ন রিফাইনারি বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুমিন, ইস্টার্ন রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আখতারুল হক প্রমুখ।
বর্তমানে ইআরএল’র বার্ষিক ক্রুড অয়েল পরিশোধনের ক্ষমতা ১৫ লাখ টন। দ্বিতীয় ইউনিটের যাত্রা শুরু হলে আরও ৩০ লাখ টন পরিশোধন করতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি। উল্লেখ্য, দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি ১৯৬৮ সালের ৭ মে বাণিজ্যিকভাবে তেল শোধন শুরু করে।
