শেয়ার বিজ ডেস্ক: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়ার সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ও তার স্ত্রীর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। স্ত্রীকে নিয়ে ছুটি কাটাতে গতকাল শনিবার দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল নাজিবের। কিন্তু তার আগেই মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্মকর্তারা নিষেধাজ্ঞার কথা জানান। খবর বিবিসি।
পরে টুইট বার্তায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার খবর নিশ্চিত করেন। কী কারণে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে কর্তৃপক্ষ তা না জানালেও নাজিব বলেছেন, তিনি এ নির্দেশ মেনে চলবেন।
নাজিবের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল ওয়ানএমডিবি থেকে ৭০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আছে। রাজধানী কুয়ালালামপুরকে বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার পাশাপাশি কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি গতিশীল করার পরিকল্পনায় ২০০৯ সালে এই ওয়ানএমডিবি তহবিল গঠন করা হয়েছিল। তহবিলে ৩০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ছিল।
নাজিব শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করছেন। ক্ষমতায় থাকাকালে প্রধানমন্ত্রীকে এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল মালয়েশিয়ার বিচার বিভাগও। বিরোধীদের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে মালয়েশিয়ার তদন্ত থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন নাজিব। ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে নাজিবের অর্থ আত্মসাতের নতুন তদন্তও চেয়েছেন তারা।
দুর্নীতির এ অভিযোগকে ঘিরেই মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয় নাজিবের। ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারি প্রকাশের পর মাহাথির তার একসময়কার পছন্দের প্রার্থী নাজিবকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু নাজিব ক্ষমতা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় নিজের সাবেক দলের বিপক্ষে গিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন বয়সের কারণে রাজনীতিকে বিদায় জানানো মাহাথির।
মাহাথিরের জনপ্রিয়তার জোরেই গত বুধবারের জাতীয় নির্বাচনে পাকাতান হারাপানের (অ্যালায়েন্স অব হোপ) বড় জয় পায়। বৃহস্পতিবার ৯২ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মাহাথির। এ সময় তিনি বলেন, ‘ওয়ানএমডিবি তহবিলের বেশিরভাগ অর্থ আমরা ফেরত আনতে সক্ষম হবো বলেই আমার বিশ্বাস।’