রুবাইয়াত রিক্তা: টানা আট কার্যদিবস ধরে দরপতন চলছে পুঁজিবাজারে। এই আটদিনে সূচক পতনের পাশাপাশি লেনদেন নেমে এসেছে ৩০০ কোটির ঘরে। অধিকাংশ কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন ভালো না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রির প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন বিনিয়োগ না আসাতে বাজার ক্রমাগত নিচে নামছে। গত আট কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচকের পতন হয়েছে ২৫৫ পয়েন্টের বেশি। এ আটদিনে বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৬২১ কোটি টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন ৫০০ কোটি থেকে এখন ৩০০ কোটির ঘরে। এদিকে আজ চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে শেয়ার ক্রয়সংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদন করতে যাচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। এর প্রেক্ষিতে বাজারে ইতিবাচক গতি থাকার সম্ভাবনা থাকলেও বাজার কোনদিকে যাবে, তা বিনিয়োগকারীদের আচরণের ওপর নির্ভর করছে।
গতকাল ডিএসইতে মাত্র ২২ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। দরপতন হয় প্রায় ৬৫ শতাংশ শেয়ারের। সবগুলো খাতেই ছিল বিক্রির প্রবণতা। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় প্রকৌশল খাতে। এ খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ২২ শতাংশ বা ৭৯ কোটি টাকা। মাত্র ১৯ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে এ খাতের মুন্নু স্টাফলার ও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। এর মধ্যে ওয়েস্টার্ন মেরিনের সাড়ে ২৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়ে বাজারে নেতৃত্ব দেয় কোম্পানিটি। বিএসআরএমের সাড়ে ১১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ। এ খাতের মাত্র ১৪ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হলেও দর কমেছে দুই টাকা ১০ পয়সা। ব্যাংক এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ করে। ব্যাংক খাতে ২৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের প্রায় ৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে প্রায় তিন শতাংশ। অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে ছিল মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংক। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ২২ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। এ খাতের ইউনাইটেড পাওয়ারের প্রায় ১৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হলেও দর কমেছে চার শতাংশ। বিবিধ খাতে লেনদেন হয় ১০ শতাংশ। উসমানিয়া গ্লাস দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। এ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের প্রায় ১৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়। তবে দর অপরিবর্তিত ছিল।
আট কার্যদিবসে বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা
