নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্থিক খাতের কোম্পানি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩০০ কোটি টাকার সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
টায়ার টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে এই বন্ড ইস্যু করা হবে। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনসাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাবে। এদিকে গতকাল কোম্পানির চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) ২০১৮ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৪৪ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল ৬০ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৮ টাকা ৪৫ পয়সা। যা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ছিল ১৬ টাকা ২৩ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ারদর দুই দশমিক ৫৪ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে সর্বশেষ লেনদেন হয় ২৬ টাকা ৯০ পয়সায়। লেনদেন শেষে সর্বশেষ দর দাঁড়ায় ২৬ টাকা ৮০ পয়সায়। এদিন কোম্পানিটির ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৬টি শেয়ার এক হাজার ৪০২ বার হাতবদল হয়, যার মোট বাজারমূল্য ছয় কোটি ৩১ লাখ টাকা। এদিন শেয়ারটির দর ২৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২৬ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ৬৯ টাকা ৭০ পয়সা ও ২৬ টাকা ৫০ পয়সা।
কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ নগদ ও সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল পাঁচ টাকা ৯৭ পয়সা। এ সময় শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ২৬ টাকা ১৬ পয়সায়।
২০১৬ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৫ সালেও একই পরিমাণ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত চার দশমিক ৪৯, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতেও যা চার দশমিক ৪৯।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৫১৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ৫১ কেটি ৩১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪২টি। রিজার্ভে আছে ৩৫৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২২ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, এক দশমিক ৯২ শতাংশ বিদেশি ও ৪১ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
