নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বাজারগুলোয় সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। তবে স্থিতিশীল রয়েছে বেশিরভাগ সবজির দাম। একই সঙ্গে গত সপ্তাহে কমে যাওয়া পেঁয়াজের দামও রয়েছে স্থিতিশীল। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ এবং শান্তিনগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আড়তে মরিচের সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অধিকাংশ সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। খিলগাঁওয়ের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. শহিদ মিয়া জানান, আড়তে মরিচের সরবরাহ কমে গেছে, বৃষ্টিতে কিছু কিছু ক্ষেতের মরিচ নষ্ট হয়েছে। যে কারণে মরিচের দাম বাড়ছে।
রামপুরার ব্যবসায়ী দিলারুই ইসলাম জানান, মরিচের দাম আরও বাড়বে কিনা দুই-একদিন গেলে বোঝা যাবে। এমনও হতে পারে মরিচের দাম আবার কমেও যেতে পারে। কিন্তু বৃষ্টি হলে মরিচের দাম বাড়বে এটা নিশ্চিত।
এদিকে বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৪০-৬০ টাকা। আর রোজার শুরুতে কিছু কিছু বাজারে শসা ১০০ টাকা কেজিও বিক্রি হয়। শসার দাম কমলেও কিছুটা বেড়েছে গাজরের দাম। বাজার ও মানভেদে গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেগুন আগের সপ্তাহের মতোই ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পটোল ও ঢেঁড়সের দাম কমে ৩০-৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
শান্তিনগরের ব্যবসায়ী আসগর আলী বলেন, বাজারে কিছু কিছু সবজির দাম কমেছে। যেমন আগের সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা পটোল ও ঢেঁড়স এখন বিক্রি করছি ৩০ টাকায়। ৮০ টাকার কাঁকরোল বিক্রি করছি ৬০ টাকা কেজি। তবে কিছুটা দাম বেড়েছে বরবটির। এ সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকার মতো। এ ব্যবসায়ী বলেন, কাঁচামালের দাম নির্ভর করে আড়তের ওপর। আড়তে মাল বেশি এলে দাম স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে। আবার আড়তে মালের ঘাটতি থাকলে দাম বেড়ে যায়। এখন আড়তে গেলেই পছন্দমতো যে কোনো সবজি আনা যাচ্ছে। যে কারণে আমরাও কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে পারছি।
করলা আগের সপ্তাহের মতোই ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহের মতো এখনও বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁকরোল। প্রতি কেজি কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আগের সপ্তাহেও এ সবজিটির দাম একই ছিল। নতুন করে কিছুটা দাম বেড়েছে বরবটির। গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। তবে ধুন্দল আগের সপ্তাহের মতোই ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙার দামও একই। সবজির দামে মিশ্র প্রবণতা থাকলেও শাকের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের সপ্তাহের মতো লাল শাক, সবুজ ডাঁটা শাক, পাট শাক, কলমি শাক ১০-১৫ টাকায় আঁটি বিক্রি হচ্ছে। আর পুঁইশাক ও লাউ শাক বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা আঁটি।
গত সপ্তাহে ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া লাল কক মুরগির দাম কিছুটা কমে ১৮০-২০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে সাদা ব্রয়লার মুরগির। আগের সপ্তাহের মতো ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ বাজার ও মানভেদে আগের সপ্তাহের মতোই ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি।
দাম বেড়েছে মরিচের সবজির বাজার স্থিতিশীল
