রুবাইয়াত রিক্তা: দু’দিন উত্থানের পর গতকাল ফের পতন হয় পুঁজিবাজারে। গতকাল ঘোষিত বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো ঘোষণা ছিল না। কেবল ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আড়াই শতাংশ কর মওকুফ ছাড়া। তবে ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক খাতের শেয়ারদরে কর কমানোর কোনো ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ করা যায়নি, বরং গত দু’দিনের সূচকের উত্থানে যেসব শেয়ারের দর বেড়েছিল সেগুলো থেকে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতায় শেষের দিকে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। জানা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে আগের মাসগুলোর তুলনায় গত মে মাসে সরকারের রাজস্ব আদায় ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে গেছে। গত মে মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ডিএসই থেকে ১৬ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব হিসেবে পায়, যেখানে গত এপ্রিলে ডিএসই থেকে রাজস্ব আয় হয়েছিল ২২ দশমিক শূন্য দুই কোটি টাকা। দৈনিক লেনদেন ও শেয়ারদর আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ার কারণেই রাজস্ব আদায় কমেছে।
গতকাল সব খাতেই দরপতন হয়েছে। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১৮ শতাংশ বা ৭৭ কোটি টাকা। এ খাতে ৩৪ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। ড্রাগন সোয়েটার সাত শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধিতে পঞ্চম অবস্থানে উঠে আসে। এছাড়া আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৫ শতাংশ। এ খাতে ৩০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতের আজিজ পাইপসের দর ১০ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। এর পরে বিডি অটোকারের দরও প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। দুটি বি ক্যাটেগরির কোম্পানি। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের দর ছয় শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের প্রায় ২০ কোটি টাকার লেনদেনের পাশাপাশি তিন শতাংশ দর বেড়ে নেতৃত্ব দেয় কোম্পানিটি। ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের ১১ কোটি টাকার লেনদেন হয়। বিবিধ খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এ খাতে ৩৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতের আমান ফিডের সাড়ে ১৮ কোটি টাকার লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ৫০ পয়সা। বেক্সিমকোর ১১ কোটি টাকার লেনদেন হলেও দর কমেছে। এছাড়া গতকাল ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ৯ শতাংশ। এ খাতে মাত্র ২৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের প্রায় ১৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়। আর্থিক খাতে লেনদেন হয় চার শতাংশ। এ খাতে ৩৯ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। প্রিমিয়ার লিজিং দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। বিমা খাতে ৪৪ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। অন্যদিকে গ্রামীণফোনের ১০ কোটি টাকার লেনদেন হলেও দর কমে ১০ টাকা ২০ পয়সা, যা সূচকের পতনে বড় ভূমিকা রাখে।
