শেয়ার বিজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের থেকে শিশুদের বিচ্ছিন্ন করার কঠোর পদক্ষেপ বন্ধ করলেও ইতোমধ্যে বিচ্ছিন্ন হওয়া দুই হাজার ৩০০ শিশুর পরিণতি কী হবে তার সুরাহা এখনও হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে অভিবাসন প্রক্রিয়া চলাকালীন অবৈধ অভিবাসী পরিবারগুলোকে একসঙ্গে রাখতে এবং পূর্বে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়াদের পুনঃএকত্রিত করতে কাজ করার জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে বিচ্ছিন্ন ওই শিশু ও তাদের মা-বাবাকে একত্র করার জন্য এখনও কোনো পরিকল্পনা হাতে নেননি কর্মকর্তারা। পুনঃএকত্রিত করতে কত সময় লাগবে এবং শিশুদের তাদের মা-বাবার সঙ্গে অভিবাসন পরিবার আটককেন্দ্রে পাঠানো হবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়। খবর বিবিসি।
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া শিশুদের পরিবারের সঙ্গে একত্রিতকরণে প্রশাসনের পরিকল্পনায় ঘাটতি আছে বলে অভিযোগ করেছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্যরা। অভিবাসন সংক্রান্ত আইনজীবীরাও বলছেন, বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোকে একত্রিকরণের কাজটি কঠিন, সমন্বয় না থাকলে সুষ্ঠুভাবে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না।
ট্রাম্প প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র আওতায় অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আটক অভিযান ও মামলার জেরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি শিশু। শিশুরা আইনের চোখে অপরাধী না হওয়ায় তাদের আটক মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তারা বলেছেন, ৫ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত দুই হাজার ২০৬ জন বাবা-মার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে দুই হাজার ৩৪২ জন শিশুকে।
সাবেক ও বর্তমান ফার্স্ট লেডি, রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট নেতাসহ নির্বিশেষে ট্রাম্প প্রশাসনের শিশু বিচ্ছিন্নকরণ পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। ফুঁসে ওঠে সাধারণ মার্কিনিরাও। দেশের বাইরেও ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ও কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ অনেকেই সমালোচনা করেন। চাপের মুখে বিচ্ছিন্নকরণ ঠেকাতে ‘পরিবারকে একত্রিত রাখা’র এক নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। তবে সে আদেশেও ইতোমধ্যে বিচ্ছিন্ন হওয়া এ দুই সহস্রাধিক শিশুর ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। বর্তমানে হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস বিভাগের হেফাজতে থাকা এসব শিশুর পরিণতি কী হবে তা এখনও অনিশ্চিত। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের রাখা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী শিশুদের বিষয়ে সুরাহা হয়নি
