নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে ১৭ কোটি টাকার জামি কেনার ঘোষণা দিয়েছে এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
কোম্পানিটি চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণ পতেঙ্গায় এক একর ৪৭ শতাংশ জমি কিনবে। জমিটির মূল্য ধরা হয়েছে ১৭ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে কোম্পানি সম্প্রসারণের জন্য এই জমি কেনা হয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর দশমিক ৮৯ শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১০২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১০২ টাকা ৮০ পয়সা। ওই দিন এক কোটি ৯১ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে এক লাখ ৮৫ হাজার ৭১৭টি শেয়ার মোট ৭২৫ বার হাতবদল হয়। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১০১ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০৩ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৯৭ টাকা থেকে ১২৫ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৭ সালের সমাপ্ত হিসাবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকরীদের জন্য ৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ছয় টাকা ৯১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৪ টাকা ৯৩ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২০৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসে কোম্পানিটি ৬০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে সাত টাকা ৭২ পয়সা আর এনএভি হয়েছে ৩৩ টাকা ৫৭ পয়সা। ওই বছর কোম্পানিটি কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২১১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছরে ছিল ১০৫ কোটি ৯০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৫ দশমিক দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩০১ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৯৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৭০ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৫৭ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৪৫ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার টাকা, যেক্ষেত্রে তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ১৩ পয়সা।
কোম্পানিটির মোট ৩০ কোটি ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৯৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৭১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৫ দশমিক ৭২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দশমিক ৫১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার।
