নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ইউনাইটেড ন্যাশনস সাসটেইন্যাবল স্টক এক্সচেঞ্জ (এসএসই) উদ্যোগে যুক্ত হতে একটি প্রতিশ্রুতিপত্রে স্বাক্ষর করেছে। সম্প্রতি এই চুক্তি সই হয়। জাতিসংঘের এসএসই’র উদ্যোগ বিশ্বের ৭৫টি স্টক এক্সচেঞ্জকে একত্র করেছে, যারা তথ্য আদান-প্রদান ও পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা এবং স্বচ্ছতার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচারক কেএএম মাজেদুর রহমান জাতিসংঘের এই সাসটেইন্যাবল স্টক এক্সচেঞ্জ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে বলেন, এ সহযোগিতা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও দক্ষ ইএসজি অর্থাৎ এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল ও করপোরেট গভর্নেন্স প্রতিবেদক আসার সুযোগ তৈরি করবে, যাতে পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডাররা উপকৃত হবেন।
সাসটেইন্যাবল স্টক এক্সচেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থাগুলো, স্টক এক্সচেঞ্জগুলো, বিনিয়োগকারী, কোম্পানি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্বের কাজ করছে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ডিএসই তার তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের পরিবেশগত সামাজিক ও করপোরেট গভর্নেন্স কার্যক্রমে অবদান রাখতে ও প্রকাশ করতে উৎসাহিত করবে। ডিএসই বিনিয়োগকারী কোম্পানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই বিনিয়োগ এবং এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উন্নত সামাজিক ও করপোরেট গভর্নেন্স প্রকাশনা ও কর্মক্ষমতার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
উল্লেখ্য, এসএসই বা সাসটেইন্যাবল স্টক এক্সচেঞ্জের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর মধ্যে সংলাপের জন্য একটি কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা। স্টক এক্সচেঞ্জগুলো বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কীভাবে একত্রে কাজ করতে পারেÑতা উদ্ঘাটনের মাধ্যমে এসএসই টেকসই বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে এবং একই সঙ্গে করপোরেট স্বচ্ছতা ও পরিবেশ, সমাজ ও করপোরেট গভর্নেন্স বিষয়ে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
স্টক এক্সচেঞ্জগুলো স্থিতিশীলতা সূচক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আর্থিক উপকরণ প্রদানের মাধ্যমে দায়িত্বপূর্ণ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে পারে। অধিকন্তু স্টক এক্সচেঞ্জগুলো তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের ইএসজি কার্যক্রম এবং প্রভাব পরিমাপ ও প্রকাশ করতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ভালো ব্যবসায়িক অনুশীলন উন্নত করতে পারে।
