Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 2:35 pm

এক দিনে ভর্তি ২৭৪২ ডেঙ্গু রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক:সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২ হাজার ৭৪০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; এক দিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৩ জনের। নতুন রোগীদের মধ্যে ১ হাজার ৭৪০ জন, অর্থাৎ ৬২ দশমিক ৭৩ শতাংশই ঢাকার বাইরের। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১১৯ জন। সব মিলিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ২২৫ জনে। তাদের মধ্যে ৩৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।

আগস্টের প্রথম ৮ দিনেই ২০ হাজার ৩৯৩ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই সময়ে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, অর্থাৎ প্রতিদিন ১০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর আসছে ডেঙ্গুতে। বাংলাদেশে এর আগে কেবল ২০১৯ সালে এর চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছিল। আর মৃত্যুর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে এবারই প্রথম। ভর্তি রোগী ও মৃত্যুর এই সংখ্যা সামনে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।

গতকাল মঙ্গলবার সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ হাজার ৪৬৩ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৪৮২ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৪ হাজার ৯৮১ জন। এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছিল বর্ষা মৌসুমের আগেই। ভরা বর্ষায় জুলাই মাসে তা ভয়ংকর রূপ নেয়।

জুলাই মাসের ৩১ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন রোগী, মৃত্যু হয় ২০৪ জনের। এক মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই সংখ্যা এ বছরের মোট সংখ্যার ৬০ শতাংশ। এছাড়া জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন এবং জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন এবং মে মাসে দুজন এবং জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।

এ বছর এডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন। এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ২৮১ জনের। এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের।